Update

Quality education is about possibilities. It is about success in real life, discovering the child's innate talents, excitement in learning new things, and being a good human being and a contributing citizen.

Quality education is about possibilities. It is about success in real life, discovering the child's innate talents, excitement in learning new things, and being a good human being and a contributing citizen.

#
About Institute

নারীদের উচ্চতর দ্বীনি শিক্ষায় অনন্য এক আদর্শ প্রতিষ্ঠান: ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) মহিলা ক্বওমী মাদরাসা ইলমে-দ্বীনের শিক্ষা অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরয। যাতে করে তারা কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক জীবন যাপন করে ইহকালের কল্যাণ ও পরকালের নাজাত হাসিল করা যায়। একমাত্র সহীহ দ্বীন শিক্ষার দ্বারাই হালাল-হারাম, ন্যায়-অন্যায় এর পার্থক্য নির্ণয় করত: সকল প্রকার ভ্রান্তি পরিহার করে ঈমান ও আমলের পথে জীবন পরিচালনা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করা যায়। এ জন্যই কুরআন ও হাদীসে দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব ও তাগিদ দিয়ে অসংখ্য বাণী বিদ্যমান। জীবন চলার পথে প্রয়োজনীয় দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা একজন পুরুষের জন্য যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, একজন নারীর জন্যও ঠিক ততটুকুই অপরিহার্য। যাতে করে মুসলমানদের প্রতিটি ঘর হয় এক একটি দ্বীন শিক্ষার বিদ্যাপীঠ। প্রতিটি মায়ের কোল হয় শিশুর দ্বীন শিক্ষার সুতিকাগার। আর মাতৃকূল থেকেই শিশুরা সুশিক্ষায় হাতে খড়ি পেয়ে তিলে তিলে সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হয় এবং মানবীয় গুণের বিকাশের মাধ্যমে উন্নত সমাজ গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। ধর্মীয় অনুশাসন সমৃদ্ধ পর্দা ঘেরা নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন আবাসন ব্যবস্থা, আধুনিক শিক্ষা ও দ্বীন শিক্ষার সমন্বয়ে বাস্তবমুখী সিলেবাসে উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা সংবলিত ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান আমাদের অনেকেরই প্রত্যাশা। দ্বীনদার, স্বাবলম্বী ও রুচিশীল ব্যাক্তিবর্গের প্রত্যাশা ও চাহিদাকে সামনে রেখেই ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) মহিলা ক্বওমী মাদরাসা’ এর প্রতিষ্ঠা। একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে গড়া প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রায় আপনার অংশগ্রহণ, পরামর্শ ও দোয়া আমাদের একান্ত কাম্য। . লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: একটি আদর্শ জাতি গঠনে একজন আদর্শ নারীর অপরিসীম গুরুত্বের বিষয়টিকে সামনে রেখে কুরআন সুন্নাহ ও সাধারন জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক অনুপম সংমিশ্রনের দ্বারা শিশুবস্থায়ই তাদের মাঝে উন্নত চারিত্রিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক গুণাবলীর ভিত রচনা করত: ধর্মীয়ভাবে সমৃদ্ধশালী একটি সমাজ ও দেশ গঠনের নিখাদ প্রচেষ্টার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনই এই ব্যতিক্রমধর্মী মাদরাসা প্রতিষ্ঠার একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। . ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) মহিলা ক্বওমী মাদরাসার বৈশিষ্ট্য: * কওমি সিলেবাসের সাথে আধুনিক শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয়ে যুগোপযোগী পাঠদান। * শরয়ী পর্দাব্যবস্থা শতভাগ অনুসরণ এবং ছাত্রীদের জন্য সাবলীল পরিবেশ। * সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ। * বিষয়ভিত্তিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ সুযোগ্য আলেমা ও জেনারেল শিক্ষিকাবৃন্দের মাধ্যমে পাঠদান। * সরকারী বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সু-ব্যবস্থা। * শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রীদের আদব, আখলাক ও চরিত্র গঠনের অনুশীলনে বিশেষ গুরুত্ব ও তদারকী। * ছাত্রীদের মন-মানসিকতা ও বহুমুখী প্রতিভার বিকাশের জন্য সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা। * মাতৃস্নেহে সার্বক্ষণিক দেখভাল ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে তালিম ও আমলের এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। * অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সু-ব্যবস্থা। * স্বাস্থ্যসম্মত ও রুচিশীল খাবার পরিবেশন। * শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসন। * প্রবাসী অভিভাবকগণের সন্তানদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ। * এতিম, গরিব, অসহায় ছাত্রীদের সাথে বৈষম্যমুক্ত মর্যাদাপূর্ণ আচরণ এবং তাদের জন্যও একই মানের ভালো খাবারের সন্মানজনক ব্যাবস্থা। *সাপ্তাহিক/ মাসিক বক্তৃতা ও বিতর্কসভা এবং রচনা প্রতিযোগিতার ব্যাবস্থা করে ছাত্রীদের মেধা, বুদ্ধি, প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দান। * কিতাবী শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রীদের নেক আমল, আদব ও উত্তম চরিত্র গঠনের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ও গুরুত্ব প্রদান। *প্লে থেকে বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পাঠদানসহ বিশুদ্ধ তিলাওয়াতে পবিত্র কুরআন শিক্ষা ও দ্বীনের আবশ্যকীয় মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ছাত্রীদের যে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য দক্ষ ও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা। . যেসব বিভাগ রয়েছে- প্রাথমিক বিভাগ:(নুরানি/ নাযেরা) ছোটদের জন্য পাঁচ বছরের প্রাথমিক কোর্স। এতে পবিত্র কুরআন শরীফ বিশুদ্ধ তিলাওয়াত, নির্বাচিত সূরা ও হাদীস মুখস্তকরণ, আরবি, উর্দু, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, মাসআলা-মাসায়েল, আদব-আখলাক ও অন্যান্য বিষয়ে কাউন্সিলিং ও অনুশীলনের সমন্বয়ে গঠিত ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করা হয়। . হিফজ বিভাগ: সম্পূর্ণ ভিন্ন ও নিরিবিলি পরিবেশে সীমিত সংখ্যক আসনে সুদক্ষ হাফেজা দ্বারা পরিচালিত আধুনিক মানের হিফজ বিভাগ রয়েছে। . কিতাব বিভাগ: আরবি ভাষায় দক্ষ শিক্ষক/শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত। বাংলা, ইংরেজী ভাষায় গুরুত্ব’সহ বেফাক সিলেবাসের সমন্বয়ে ৮ বছরে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত শিক্ষার সু-ব্যবস্থা আছে। . খন্ডকালীন কুরআন শিক্ষা: বয়স্ক মহিলাদের জ্ন্য বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত, প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল ও নির্বাচিত সূরা মুখস্ত করার সুব্যব্স্থা। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত, হাতে কলমে নামাযের তালিম ও প্রয়োজনীয় মাসআলা সমূহের শিক্ষাদান। . পাঠদানের পদ্ধতি: * আরবী ও বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের প্রতি সমান গুরুত্বারোপ। * নিয়মিত ক্লাস টেস্ট, মাসিক পরীক্ষা, ইয়ার ফাইনাল, প্রি-টেস্ট এবং মডেল টেস্ট-এর মাধ্যমে ছাত্রীদের মেধা ও শিক্ষার মান যাচাই। * শ্রেণী কক্ষেই পাঠদান ও পাঠ গ্রহণ। * সেমিস্টার পদ্ধতি। * একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ। * ছাত্রীদের বাড়ির কাজও দৈনিক ডায়েরীর মাধ্যমে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ। * অপেক্ষাকৃত সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ক সাপ্তাহিক ও মাসিক সেমিনারের আয়োজন। * প্রতি সেমিস্টারের জন্য বিষয়ভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন। . ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলী: আবাসিক শাখা- নার্সারি ও প্রথম শ্রেনীর ভর্তি ফি ৮০০ টাকা, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ১২৫০ টাকা। কিতাব বিভাগ ও হিফজুল কুরআন বিভাগ ১৫০০ টাকা(প্রতি বছর) অফেরৎযোগ্য। বেতন ও আবাসন এবং খোরাকী বাবদ মাসিক ফি- ৩০০০ টাকা। . ডে-কেয়ার শাখা- নার্সারি ও প্রথম শ্রেনীর ভর্তি ফি ৮০০ টাকা, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ১২৫০ টাকা। কিতাব বিভাগ ও হিফজুল কুরআন বিভাগ ১৫০০ টাকা (প্রতি বছর) অফেরৎযোগ্য। বেতন ও আবাসন ফি ১৩০০ টাকা . অনাবাসিক শাখা- নার্সারি ও প্রথম শ্রেনীর ভর্তি ফি ৮০০ টাকা, দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ১২৫০ টাকা। কিতাব বিভাগ ও হিফজুল কুরআন বিভাগ ১৫০০ টাকা (প্রতি বছর) অফেরৎযোগ্য। বেতন ৫০০ টাকা। খন্ডকালীন শাখা- বেতন ৫০০ টাকা।

Director's Messages

#
#

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক

এম,সালমান আমীন

আসসালামু আলাইকুম! এক সময়ের প্রবাদ ছিল ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’। বর্তমানে অনেকেই পরিবর্তন করে বলেন, শুধু শিক্ষা নয়; বরং ‘সুশিক্ষাই হল জাতির মেরুদন্ড’। আমি তাদের সাথে একমত। একথা সুস্পষ্ট যে, সকল শিক্ষার মাঝে একমাত্র কুরআন কারীমের শিক্ষাই হল আদর্শবান সুশিক্ষা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَه. ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি,যে কুরআন মাজীদ শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি শরীফ ২/৭৫২, হাদীস-৪৮৩৬) কুরআনি শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি শুধু বর্ণিত হাদীস শরীফ দ্বারাই নয়; বরং কুরআন কারীমের বিভিন্ন আয়াত ও অন্যান্য হাদীস শরীফ দ্বারাও প্রমাণিত। এ শিক্ষা (ইলম) অর্জন করাকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ বলে ঘোষণা করেছেন তাঁর পবিত্র বাণীতে। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন,طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ ‘দ্বীনি ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।’ (ইবনু মাজাহ, হাদীস-২০) ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার ও আন্তর্জাতিক পর্যায় সহ জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে সফলতা লাভের জন্য দ্বীনি শিক্ষা অর্জনের বিকল্প নেই। তাই এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর পূর্বে ভারতের দেওবন্দে প্রতিষ্ঠিত হয় কওমি মাদরাসার প্রাণকেন্দ্র ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’। ভারত বর্ষকে ইংরেজ-বেনিয়াদের করালগ্রাস থেকে মুক্ত করার সর্বপ্রয়াসী সংগ্রাম নিয়ে ১৮৫৭ সালে উলামায়ে হিন্দের নেতৃত্বে যে ‘সিপাহি বিপ্লব’ সংঘটিত হয়, তাতে দুঃখজনকভাবে মুসলমানরা পরাজিত হলে মুসলিম সমাজের উপর নেমে আসে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের পৈশাচিক নির্যাতন ও অকল্পনীয় নিপীড়ন। হিংস্র ও জালিম ইংরেজরা শুধু শারীরিক নির্যাতনেই ক্ষান্ত ছিল না; বরং মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা,সভ্যতা-সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করতে আঘাত হানে ইসলামি শিক্ষানীতির উপরও। তারা প্রণয়ন করে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা,যা শিখে মুসলিম জাতি রক্তে-মাংসে ভারতীয় হলেও চিন্তা-চেতনায় হয়ে উঠবে নাস্তিকবাদী কালচারের খাঁটি ইউরোপীয়। সময়ের সে ক্রান্তিলগ্নে বৃটিশদের শিক্ষার বিষফল থেকে মুসলিম জাতিকে রক্ষার পাশাপাশি তাদের ঈমান-আক্বীদা ও তাহযীব-তামাদ্দুনের হেফাযত এবং ইসলাম বিদ্বেষী মতাদর্শের মোকাবেলায় মুসলিম জনবলকে সংঘবদ্ধ করার সুমহান লক্ষ্যে ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ‘আযাদি আন্দোলনের’তৎকালীন সেনাপতি ও ‘সিপাহি বিপ্লবের’অন্যতম সিপাহসালার হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কী রহ.এর পরামর্শক্রমে, ঐতিহাসিক ‘শামেলিী যুদ্ধের’ বীর সেনাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম কাসেম নানুতবী রহ. ও সমকালীন উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবৎ দীর্ঘ দেড়শত বছরে সে সকল আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তা-চেতনা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দারুল উলূমের কৃতিসন্তানরা যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, তাতে এশিয়া মহাদেশসহ বিশ্বের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠেছে দারুল উলূমের আদর্শের প্রতীক শত-সহস্র কওমি মাদরাসা। জামিয়া সাহবানিয়া দারুল উলূমও সে দেওবন্দ বৃক্ষেরই একটি ফল এবং তারই ধারাবাহিকতার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এ প্রতিষ্ঠান নিজস্ব কোনো সিলেবাস বা গবেষণা কৈন্দ্রিক নয়;বরং দারুল উলূম দেওবন্দেরই পদাঙ্ক অনুসারী এবং সে সকল আকাবিরদের তৈরি তা’লীম,তারবিয়াতের নীতিমালার উপরই প্রতিষ্ঠিত। এ রিসালায় বর্ণিত সিলেবাস সহ যাবতীয় নীতিমালা মূলত তাঁদেরই প্রণীত নীতিমালার অনুসরণ,যে নীতিমালা ও সিলেবাস আল্লাহ তা’আলার নিম্নোক্ত বাণী থেকে নির্গত। هُوَ الَّذِيْ بَعَثَ فِيْ الْأُمِّيِّيْنَ رَسُوْلًا مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ آيَاتِه وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتبَ وَالْحِكْمَةِ ‘মহান আল্লাহ তা’আলা নিরক্ষর জাতির মাঝে তাদেরই একজনকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন,যিনি মানুষকে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে শুনাবেন,তাদের আত্মশুদ্ধি করাবেন এবং তাদেরকে কুরআন ও হিকমত তথা হাদীস শিখাবেন।’(সূরা জুমু’আ,আয়াত : ২) বর্ণিত আয়াতটি কুরআন কারীমের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত,কুরআন ও হাদীসের ইলম তথা ইলমে দ্বীন শিখানো এবং সে অনুযায়ী আমল করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। কুরআনের এ হেদায়াত মোতাবেক ইলমে দ্বীন শেখা ও শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় ভাষা আরবি, উর্দু,ফারসি জানার পাশাপাশি অন্যের কাছে ইলমে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য বাংলা ও ইংরেজি ভাষা শিখার প্রয়োজনীয়তাও ফুটে ওঠে। ভীনদেশি ভাষা বোঝার জন্য তা শিখতে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবি হযরত যায়েদ বিন সাবেত রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীস শরীফে এসেছে, أَمَرَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَتَعَلَّمّ السُّرْيَانِيَّةَ. وَفِيْ رِوَايَةٍ أَنَّه أَمَرَنِيْ أَنْ أَتَعَلَّمَ كِتَابَ يَهُوْدَ إلخ ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সুরয়ানি (হিব্রু) ভাষা শেখার আদেশ করলেন। অন্য বর্ণনা মতে,আমাকে ইহুদিদের পত্রলিখন পদ্ধতি শেখার আদেশ করলেন।’ (তিরমিযি,মেশকাত শরীফ,পৃষ্ঠা নং-৩৯৯) তাই সময়ের চাহিদা পূরণে,বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম নিজেদের দীর্ঘ গবেষণা ও পরামর্শের মাধ্যমে একটি কার্যকর,যুগোপযোগী সিলেবাস ও গঠনতান্ত্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। যাতে কুরআনের হেদায়াত ও আকাবিরে দেওবন্দের মূলনীতি ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় ভাষা সমূহের সমন্বয় করা হয়েছে। জামিয়া সাহবানিয়া যুগোপযোগী সে সিলেবাসেরই অনুসরণ করে খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। নববি আদর্শে আদর্শবান হতে এবং আকাবিরদের পথে চলতে আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সাহায্য ও সফলতা দান করবেন বলে আমরা আশাবাদী। হে আল্লাহ,আপনি তাওফীক দান করুন। এম,সালমান আমীন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) মহিলা ক্বওমী মাদরাসা, মুন্ডুমালা।

# Notice Board

Our Teachers

#

এম সালমান আমীন

(principal)

#

মোসাঃ মাকসুদা খাতুন

(ইংরেজি মেডাম )

#

মোসাঃ সুচনা আফরিন

(বাংলা মেডাম)

#

হাঃ মাওঃ মোঃ আনোয়ার হোসাইন

(ক্বারি সাহেব )

#

মোসাঃ নুসরাত জাহান রুবি

(আরবি মেডাম )

#

মাওলানা মোহাঃ জানে আলম

(গণিত শিক্ষক )

Student statistics

39

Total Students

নার্সারি

48

Total Students

প্রথম

34

Total Students

দ্বিতীয়

23

Total Students

তৃতীয়

12

Total Students

চতুর্থ

4

Total Students

কিতাব বিভাগ

20

Total Students

হিফজ বিভাগ

Best students

#

মোসাঃ তাহমিনা ইয়াসমিন

(নার্সারি)
  • Roll:1
  • Session:Jan-2025-Dec-2025
#

মোসাঃ আয়েশা আক্তার সাদিয়া

(প্রথম)
  • Roll:1
  • Session:Jan-2025-Dec-2025
#

মোসাঃ আফিয়া তাবাসসুম

(দ্বিতীয়)
  • Roll:1
  • Session:Jan-2025-Dec-2025
#

মোসাঃ রাইহানা রুবি

(তৃতীয়)
  • Roll:2
  • Session:Jan-2025-Dec-2025
#

মোসাঃ সাদিয়া আক্তার হ্যাপি

(চতুর্থ)
  • Roll:1
  • Session:Jan-2025-Dec-2025
#

সুমাইয়া আঁখি

(চতুর্থ)
  • Roll:3
  • Session:Jan-2025-Dec-2025